Summary
কবির ভাবনায়, মানুষ সুখী হওয়ার জন্য সাধারণ পথ অনুসরণ করে না। রাতের ঘুমের সমস্যা সুখের চিন্তায় হয়, তবে সুখী মানুষের ঘুম দুর্ভোগ থেকে মুক্ত থাকে। কবি একটি নির্ভাবনাময় জীবন চায়, যেখানে ভাঙা বেড়ার ঘরেও মানুষ শান্তিতে ঘুমাতে পারে।
অর্থ-বিত্তের জন্য লোভ মানুষকে সুখ হারাতে বাধ্য করে, ফলে জীবন যন্ত্রণাময় হয়ে ওঠে। এর ফলে মানুষ রোগাক্রান্ত হয়ে অকাল মৃত্যু বরণ করে।
জীবনের সার্থকতা হলো মানবপ্রেমে। কবি সেই জায়গায় থাকতে চায় যেখানে মানুষ প্রতিবেশীর জন্য ভালবাসা প্রকাশ করে এবং তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করতে আলোর সৃজন করে।
আমি সেই জগতে...ঘুমিয়ে থাকে ভাই কে কীভাবে সুখী হবে তা নির্ধারিত নয়। - মানুষ গতানুগতিক যেভাবে সুখী হয় কবি সেভাবে সুখী হওয়ার কথা এখানে বলেননি। সুখের চিন্তায় মানুষের রাতে ঘুম হয় না। কিন্তু সুখী মানুষের ঘুমের সমস্যা হয় না। সারাদিন কাজের পর বিছানায় গেলেই শান্তির ঘুম তাকে তৃপ্তি দেয়। কবিও তেমনি সে রকম এক জীবন-যাপনের মাঝে যেতে চান যেখানে ভাঙা বেড়ার ঘরেও মানুষ নির্ভাবনায় ঘুমিয়ে থাকে; ঘুমিয়ে যেতে পারে।
বিত্ত-সুখের ... কমায় না – সমাজের - বেশির ভাগ মানুষ টাকা-পয়সা ও সম্পদের লোভে দিনাতিপাত করে; এতে সুখ হারাম হয়ে যায়; জীবন হয় যন্ত্রণাময় । এতে তাদের জীবন দীর্ঘ না হয়ে বিভিন্ন রোগ-বালাইয়ে তারা আক্রান্ত হয় এবং মৃত্যুবরণ করে। বিত্ত-সুখের দুর্ভাবনা মানুষকে সুখ তো দেয়ই না বরং তাদের আয়ু আরও কমে যায়।
যেথায় মানুষ ... জ্বালতে পারে আলো – জীবনের সার্থকতা কোথায় এটা গুরুত্বপূর্ণ প্রশ্ন। কিছু মানুষ আছে যারা অন্যের উপকার ও মঙ্গলের জন্য নিজেদের জীবন উৎসর্গ করে। মানবপ্রেম বা মানুষকে ভালোবাসতে পারার মাঝে জীবনের মহত্ত্ব নিহিত থাকে। প্রতিবেশীর দুঃখে এগিয়ে আসা, তাদের দুঃখ-কষ্ট দূর করার মাঝেও এক ধরনের তৃপ্তি আছে। কবি তাই বলেছেন যে, যেখানে মানুষকে ভালোবাসা যায়, প্রতিবেশীর দুঃখ-কষ্ট দূর করে আলো জ্বালানো যায়— সেখানেই তিনি থাকতে চান ।
Read more